নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: ২০১৯ সালের জুলাই মাসের শেষের দিকে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়াকে আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমকে যুগ্ন আহবায়ক করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক ঘটন করা হয়।  আহবায়ক কমিটি থেকে বাদ পড়া  কিছু আওয়ামীলীগ নেতার বিদ্রোহের কারণে গত ২২ মার্চ পুরোনো কমিটিকে পুর্নবিন্যাস করা হয়। সেখানে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতকে যুগ্ন আহবায়ক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল  হাই ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল। কমিটি ঘোষনা করার পরও শেষ নেয় এখন যাত্রীবাহি বাসের মতো লবিং লোক কমিটিতে ডুকানো হচ্ছে আবার বাদও দেয়া হচ্ছে।

সদ্য ঘোষিত কমিটিতে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন থেকেই নেয়া হয় ৭ হন সদস্য। বাদ পরেন সাদিপুর ও বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন। আবার উপজেলা আওয়ামীলীগকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ মোল্লা বাদশা, প্রচার সম্পাদক ও নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান উদ্দিন চুন্নু, কোষাদক্ষ ও সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লার মতো ত্যাগী নেতাদের বাদ দেয়া হয়। তাদের বাদ দিয়ে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি তবদিরে নেয়া হয় ইটালী প্রবাসী মাহবুব সরাকারকে আবার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই এর তবদিরে নেয়া হয় জামপুর ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও চাকুরীজীবি মাহবুব সরকার লিটন।

এ দিকে গতকার আহবায়ক কমিটির চাপের মুখে জেলা কমিটি স্বীকার করেন যে মাহবুব সরকারের নাম এসেছে তিনি আসলে ইটালী প্রবাসী মাহবুব নয় তিনি বৈদ্যেরবাজার বাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব সরকার। তবে সেটা স্পষ্ট হওয়ার পর কপাল পুড়ে মাহবুব সরকারের। তাকে বাদ দেয়া হয় নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করার তকমা লেপে। তার পরিবর্তে ডাক্তার বিরুর লবিং নেয়া হয় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাসুদ রানা মানিককে। তবে, আহবায়ক কমিটির নেতারা জানিয়েছেন এখানেই শেষ নয় আহবায়ক কমিটিতে স্থান পেতে পারেন আরো ৫ জন নেতা। তারা হলেন সম্ববত সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লা, সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র প্রার্থী নাসরিন সুলতানা ঝরা, এডভোকেট সেলিনা আক্তার ও নেকবর হোসেন নাহিদসহ আরো ৫ জন। তবে যারা এখন আহবায়ক কমিটিতে স্থান পাচ্ছেন তারা সবাই বিভিন্ন নেতার লবিংয়ে দলে স্থান পাচ্ছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তবে, একটি সুত্র জানিয়েছে, হঠাৎ করে আহবায়ক কমিটি পূর্নবিন্যাস করায় সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতে লোক বেশী স্থান পাওয়ায় ডাক্তার বিরি তার পছন্দের লোক দলে স্থান দেয়ার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। যার ফলাফল মাসুদ রানা মানিক। যা কোন যোগ্যতা না থাকার পরও মাহবুব সরকারকে বিদ্রোহীর তকমা দিয়ে বাদ দেয়া হয়।

তৃনমুল নেতারা অভিযোগ করেন, নারায়নগঞ্জের একজন এমপি ইশারায় আহবায়ক কমিটি যাত্রীবাহী বাসের মতো থেমে থেকে স্ট্যান্ডে গিয়ে লোক নিচ্ছে আবার নামিয়েও দিচ্ছে। কবে যে যাত্রী উঠানো বন্ধ করবে সেজন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।